باب ناين
X اغلاق

February 25 2017


شارك من خلال

বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলায় নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপির তীব্র প্রতিবাদ ও সংবাদিক সম্মেলন

নিউইয়র্ক কানাডা আদালতের রায় অপব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দেয়ায় শেখ হাসিনার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারী নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস্’র এক রেষ্ট্রুরেন্টে নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে নেতারা শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপির সভাপতি পারভেজ সাজ্জাদ সভা পরিচালনা করেন নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপির সাধারন সম্পাদক মতিউর রহমান লিটু। সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মঞ্জুর আহম্মেদ চৌধুরী জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুস সবুর নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল বাসার যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের
সাধারন সম্পাদক আবু সাইদ আহমেদ সাবেক ছাত্রনেতা মার্শাল মুরাদ যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদল নেতা জীবন শফিক শাহাদাত হোসেন রাজু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্প্রতি কানাডার ফেডারেল আদালত জনৈক বাংলাদেশী নাগরিকের রিফিউজি মামলা খারিজ করে দিয়ে তাকে দেশে ফিরে যাওয়ার হুকুম জারী করেন। মামলার রায়ে বিচারপতি বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে আওয়ামীলিগ বিএনপি সহ সকল দলকে তাদের নিজস্ব এজেন্ডা আদায়ে সহিংসতার আশ্রয় নেন বলে উল্লেখ করেছেন। এখানে বাংলাদেশের বৃহত্তম দল বিএনপিকে একক ভাবে দোষারোপ করা হয়নি। অথচ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামীলিগ সরকার রায়ের অপব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। কানাডার ফেডারেল ​আদালতের বরাত দিয়ে বাংলােেশর ক্ষমতাসীন সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে নেতৃবৃন্দ দাবি করেন। বিএনপির নামে মিডিয়ার যে মিথ্যা প্রচারণা হচ্ছে সেটা তথ্য সন্ত্রাসের সামিল। এমনকি আদালতের রায় অপব্যাখ্যা দেয়া আদালত অবমাননার সামিলও বটে।

উল্লেখ্য জনৈক জুয়েল হোসেন গাজী নামক এক বাংলাদেশী কানাডায় রিফিউজি আশ্রয় পেতে বিএনপির বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন। তার মামলার সহযোগিতায় ছিলেন কানাডা প্রবাসী কিছু আওয়ামীলিগ ব্যক্তিবর্গ। তারাই ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো শুরু করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী এই মামলার রায়কে অপব্যাখ্যা দিয়ে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে তথ্যসন্ত্রাস চালাচ্ছেন।

শুনানীতে কানাডার আদালতে প্রসিকিউটর বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলকে সহিংস বলে আখ্যা দিয়েছে গত জানুয়ারী মাসে। এ রায়ের নিউজ কানাডার একটা অখ্যাত অনলাইন পত্রিকায় এসেছিল। এই রায়টি প্রকাশিত হয়েছে গত ২৫ জানুয়ারি কিন্তুু সরকারী পদলেহনকারী গণমাধ্যাম সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে নতুন ভাবে প্রচারণা শুরু করেন।

কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগকে ভুল তথ্য দিয়ে এবং প্রদত্ত রায়ের অপব্যাখ্যা করে একটি নাটক সাজানো হয়েছে। কানাডার ফেডারেল আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন নয় বরং আবেদকারীর কার্যত্রুমকে সন্ত্রাসী কার্যত্রুম হিসেবে আখ্যা দিয়ে মামলা খারিজ করে দেয়া হয়েছে।

বিএনপির কোন নেতা বা কর্মী যদি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন তিনি বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন কেন বলবেন তিনি বরং বলবেন বাংলাদেশে তিনি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আছেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হতে পারেন। ওই ব্যক্তি বিএনপির নেতা হলে কেন সে বিএনপির বিরুদ্ধে বলতে যাবেন এটা অবশ্যই একটা সাজানো নাটক।

আবেদনকারী জুয়েল হোসেন গাজী বিএনপি কিংবা এর কোন অঙ্গ সংগঠনের সদস্য নয়। জুয়েল দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে কর্মরত ছিলেন। পরে সে আসেন কানাডায়। নাগরিকত্ব লাভের আশায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। আদালতে দাখিল করা জুয়েলের জবানবন্দি অনুযায়ী সহিংস ব্যক্তি প্রমানিত হওয়ায় তার রিফিউজি স্ট্যাটাচ খারিজ হয়ে যায়। এখানে বিএনপির কোন সংপৃক্ততা নেই।

নেতৃবৃন্দ আরো দাবী করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া দল বিএনপি সন্ত্রাসী হতে পারে না। সরকার সমর্থিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ খবরের কোন ভিত্তি নেই।